Pradhanmantri fasal Bima Yojana:- কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (PMFBY) থেকে বাংলা শস্য বীমা (BSB) প্রকল্প অনেক গুণ ভালো ও কৃষকবান্ধব।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর দাবি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ যেমন বেশি, ঠিক তেমনই প্রিমিয়াম বাবদ কৃষকদের ১ টাকাও দিতে হয়না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে সম্পূর্ণ দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:–Wb BDO Office Job:- রাজ্যে এইট পাশে চাকরির সুযোগ! সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করুন আবেদন
Table of Contents
Pradhanmantri fasal Bima Yojana:-
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক চাপ দিলেও প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা পশ্চিমবঙ্গে আপাতত চালু হচ্ছে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। এইদিন ফের জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ। গত শনিবার দেশের সব রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক শিবরাজ সিং চৌহান।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক যখন পশ্চিমবাংলায় প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা কার্যকর করার জোর দেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রীতিমতো তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বুঝিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:–Wb Land department Recruitment: পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পাশে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগ, আবেদন করুন চাকরির জন্য।
কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়:- PMFBY
বাংলার প্রকল্প কেন্দ্রের বীমা প্রকল্প থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে তিনি দাবি করেন। এর পাশাপাশি কৃষিতে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন ” আমাদের রাজ্যের কৃষি বাজেট হলো ৯,৮০০ কোটি টাকা। সেখানে কেন্দ্র তার বিভিন্ন প্রকল্পের যে টাকা দেয় তার পরিমাণ রাজ্য বাজেটের ৫ শতাংশেরও কম” অথচ, ওই সামান্য বরাদ্দের জন্য নিত্যনতুন শর্ত চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের কৃষি মন্ত্রক সরাসরি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে এভাবেই বুঝিয়ে দেন।
স্বাস্থ্য থেকে আবাস, ভাতা থেকে গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ থেকে সরাসরি কৃষক বীমা। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প বাংলার হয় থমকে গিয়েছে, নয় রাজ্য সরকার আগে থেকেই সেইসব প্রকল্প চালু করে প্রত্যেকে উপভোক্তাদের সুবিধে দিচ্ছেন।
Pradhanmantri fasal Bima Yojana In West Bengal:-
যেমন:- ” আয়ুষ্মান ভারত” এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের “স্বাস্থ্য সাথী “ প্রকল্প অনেক আগেই শুরু করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এছাড়াও রয়েছে আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের মত নানান প্রকল্প যেখানে কেন্দ্রের তরফে অর্থ না মেলার কারণে রাজ্যের নিজের কোষাগার থেকে টাকা দিয়ে এই প্রকল্প গুলি বহাল রেখেছে রাজ্য সরকার।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে 1কোটি 1লক্ষ্যেরও বেশি কৃষকদের কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ভাতা দিয়ে আসছেন রাজ্য সরকার। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার নিজের টাকায় প্রকল্প তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন:–West Bengal Group: D Recruitment 2024: চাকরির সুযোগ, এইট পাশে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন করুন
প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা থেকে অনেক বেশি কৃষকবান্ধব এই শস্য বীমা। তাই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা যেটা প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত এক প্রকল্প রাজ্যে চালু করা নিয়ে চাপ দিলেও নবান্ন আপাতত এই প্রকল্প চালু করছে না বলেই জানানো যাচ্ছে।
Bangla Shashya Bima & Krishak Bandhu:-
সূত্রের খবর, সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু ও বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প চালু করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় যেমন এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি দেয়া হয়, ঠিক তেমনি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের কৃষকদের প্রিমিয়ামের জন্য কোন চিন্তা করতে হয় না সরাসরি রাজ্য সরকার সেই টাকা দিয়ে থাকে।
Pradhanmantri fasal Bima Yojana:- Other States
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা গুজরাট, বিহার, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খন্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পাঞ্জাব এই সমস্ত রাজ্য গ্রহণ করেনি এই প্রকল্পকে। এদিন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে তথা শিবরাত সিং চৌহানকে কৃষক বিরোধী নীতি প্রণয়ন না করার জন্য অনুরোধ করেন শোভনদেব।
PMFBY:- 2025
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষকদের রোজগার প্রায় ২১১ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, চাল ও পাট উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এখনো এক নম্বর স্থানে। আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে। বাংলার কৃষকদের গড় উৎপাদনশীলতা (১৯২ শতাংশ এবং জাতীয় স্তরে তা ১৪৩.৬ শতাংশ) গড়ের তুলনায় বেশি।
Pradhanmantri fasal Bima Yojana:
তা, সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করছেন মন্ত্রীগণ। এরমধ্যে একটা সমস্যা হচ্ছে এইচএসএন কোড না দেওয়ায় গোবিন্দভোগ চালের রপ্তানিতে অনেক সমস্যার মুখে পড়ছে রাজ্য। এই কোডের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী 2022 সালে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন।
কিন্তু সেই আবেদনের এখনো পর্যন্ত কোনরূপ মান্যতা পায়নি রাজ্য সরকার। ফলে এই চালের বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। স্যারে রাজ্যের প্রাপ্য ভাগ দুই হাজার একুশ সালে ছিল 5 লক্ষ মেট্রিক টন এখন সেটা কমে ১ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিক টন দেওয়া হচ্ছে।
PMFBY 2025-26
সবমিলিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা চালু করছো না পশ্চিমবঙ্গ সরকার কারণ এর থেকেও ভালো প্রকল্প বাংলা শস্য বীমা বলছেন সরাসরি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী।
AGRICULTURE INDIA | CLICK HERE |
WEST BENGAL | CLICK HERE |
Pradhanmantri fasal Bima Yojana: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর দাবি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ যেমন বেশি, ঠিক তেমনই প্রিমিয়াম বাবদ কৃষকদের ১ টাকাও দিতে হয়না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে সম্পূর্ণ দিয়ে থাকে।