ভারতে ই-শ্রম কার্ড (Eshram card) হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি উদ্যোগ, যা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য একটি জাতীয় ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি করতে চালু করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের পরিচয় নথিভুক্ত করা হয় এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণমূলক সুবিধা প্রদান করা হয়। নিচেই-শ্রম কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
ই-শ্রম কার্ড (Eshram card)কী?
ই-শ্রম কার্ড হল একটি ১২-অঙ্কের ইউনিক নম্বর (Unique Identification Number) যুক্ত ডিজিটাল কার্ড, যা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment) দ্বারা চালু করা হয়েছে। এটি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরি করে এবং তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে।
আরও পড়ুন:–Banglar Bari 2nd Installment: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে দেবে? Big News Bangla Awas Yojana!
Table of Contents
ই-শ্রম কার্ডের (Eshram card) উদ্দেশ্য:
১. অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরি করা।
২. শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণমূলক সুবিধা প্রদান করা।
৩. শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসা, বীমা, পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা।
৪. শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান করা।
আরও পড়ুন:–Pm Kisan 19th Installment: কৃষকদের 19নম্বর কিস্তির টাকা কবে দেবে, জানালো সরকার! Big Update
যারা ই-শ্রম কার্ডের (Eshram card) জন্য আবেদন করতে পারেন:
১. অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক: যেমন নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশাচালক, রাস্তার বিক্রেতা, ড্রাইভার, কারিগর, মৎস্যজীবী ইত্যাদি।
২. বয়সসীমা: ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী শ্রমিকরা আবেদন করতে পারেন।
৩. ভারতের নাগরিক: আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
৪. যারা অন্য কোনো সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের আওতায় নেই: যেমন EPFO, ESIC ইত্যাদি।
ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা:
১. আপদকালীন সহায়তা: কোভিড-১৯ এর মতো পরিস্থিতিতে আর্থিক সহায়তা।
২. পেনশন সুবিধা: ৬০ বছর বয়সের পরে মাসিক পেনশন।
৩. বীমা সুবিধা: দুর্ঘটনা বীমা (Accidental Insurance)।
৪. চিকিৎসা সহায়তা: স্বাস্থ্য বীমা ও চিকিৎসা সুবিধা।
৫. দক্ষতা উন্নয়ন: বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ।
আবেদনের প্রক্রিয়া:–
১. অনলাইন আবেদন:
- ই-শ্রম পোর্টাল ভিজিট করুন।
- মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য (নাম, বয়স, পেশা, ব্যাংক হিসাব ইত্যাদি) প্রদান করুন।
- একটি স্ব-ঘোষণা ফর্ম (Self-Declaration Form) পূরণ করুন।
- আবেদন জমা দিন এবং ইউনিক নম্বর (UAN) পান।
আরও পড়ুন:–Pm Kisan 19th Installment: কৃষকদের ১৯ নম্বর কিস্তির টাকা কবে দেবে? Farmers Big News
২. কমন সার্ভিস সেন্টার (CSC):
- স্থানীয় CSC সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- আধার কার্ড (Aadhaar Card)
- মোবাইল নম্বর (আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা)
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড:
আবেদন সম্পন্ন হলে, শ্রমিকরা ই-শ্রম পোর্টাল বা UMANG অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। কার্ডে শ্রমিকের নাম, পেশা, ইউনিক নম্বর (UAN), এবং অন্যান্য বিবরণ থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ই-শ্রম কার্ড সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জারি করা হয়।
- এটি শ্রমিকদের জন্য একটি স্থায়ী পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে।
- শ্রমিকরা তাদের ইউনিক নম্বর (UAN) ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেতে পারেন।
ই-শ্রম কার্ড ভারতের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ, যা তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
ই-শ্রম কার্ড কারা করতে পারবেন?
ভারতে ই-শ্রম কার্ড (Eshram card) হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি উদ্যোগ, যা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য একটি জাতীয় ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি করতে চালু করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের পরিচয় নথিভুক্ত করা হয় এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণমূলক সুবিধা প্রদান করা হয়। নিচেই-শ্রম কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল: