WB BUDGET 2025 ASHA WORKER:- পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্য ঐতিহাসিক ঘোষণা! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০ কোটির বরাদ্দের ঘোষণা করলেন।
পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্য স্মার্টফোন ও ট্যাবের ঘোষণা! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় উদ্যোগ। (WB BUDGET 2025)
Table of Contents
Asha and Anganwadi Good News! (WB BUDGET 2025)
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘোষণা করেছেন। WB BUDGET 2025 ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে এই কর্মীদের জন্য স্মার্টফোন ও ট্যাব বিতরণের প্রকল্প চালু করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মীদের কাজের দক্ষতা বাড়ানো এবং ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। (WB BUDGET 2025)
আরও পড়ুন:–Banglar Bari 2nd Installment: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে দেবে? Big News Bangla Awas Yojana!
📌 ঘোষণার মূল বিষয়বস্তু
কাদের দেওয়া হবে?
- অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী (১.২ লক্ষ)
- আশা কর্মী (৫০,০০০)
- মোট ১.৭ লক্ষ কর্মী
কী দেওয়া হবে?
- স্মার্টফোন/ট্যাব
- প্রি-ইনস্টল বিশেষ অ্যাপ
- ডেটা ম্যানেজমেন্ট টুলস
কেন দেওয়া হবে?
- ডিজিটালাইজেশন
- রিপোর্টিং উন্নয়ন
- কোভিড প্রস্তুতি
সময় ও বাজেট
- ২০২৫-২৬ বাজেট
- ২০০ কোটি টাকা
- ১০,০০০ টাকা/ডিভাইস
ডিসেম্বরের মধ্যে
৫০% বিতরণ
জুনের মধ্যে
১০০% বিতরণ
আরও পড়ুন:–Pm Kisan 19th Installment: কৃষকদের 19নম্বর কিস্তির টাকা কবে দেবে, জানালো সরকার! Big Update
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য:
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা আমাদের সমাজের মূল স্তম্ভ। তাদের কাজের মান উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সুবিধা প্রদান আমাদের অগ্রাধিকার। এই স্মার্টফোন ও ট্যাব তাদের কাজকে আরও সহজ ও কার্যকর করবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই উদ্যোগ কোভিড মহামারীর সময় আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয়েছি, তার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কোনো তথ্য বা পরিষেবা বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।”
কর্মীদের প্রতিক্রিয়া:
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মালা দেবী বলেন, “আমরা এখনও কাগজে রিপোর্ট লিখি। স্মার্টফোন পেলে কাজ অনেক সহজ হবে।” আশা কর্মী সংঘের নেত্রী রেখা মণ্ডল বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের কাজের গতি বাড়াবে এবং ডিজিটাল শিক্ষায় আমাদের দক্ষতা উন্নত করবে।”
প্রকল্পের সুবিধা:
১. কর্মীদের জন্য:
- কাজের চাপ কমবে এবং রিপোর্টিং সহজ হবে।
- অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
- আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিতি বাড়বে।
২. সরকারের জন্য:
- ডিজিটাল ডেটা সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা বাড়বে।
- স্বাস্থ্য ও শিশু কল্যাণ পরিষেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে।
- কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে।
৩. সামগ্রিক প্রভাব:
- গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়ন।
- শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি।
- ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন:–Pm Kisan 19th Installment: কৃষকদের ১৯ নম্বর কিস্তির টাকা কবে দেবে? Farmers Big News
চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা:
- ডিভাইসের রক্ষণাবেক্ষণ: কর্মীরা ডিভাইসের যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
- ইন্টারনেট সুবিধা: গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
- প্রশিক্ষণের অভাব: কর্মীদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
১. প্রশিক্ষণ কর্মশালা: কর্মীদের ডিভাইস ব্যবহার ও অ্যাপ পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২. ইন্টারনেট সুবিধা: গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
৩. মনিটরিং সিস্টেম: ডিভাইসের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ মনিটরিং করার জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করা হবে।
সামগ্রিক প্রভাব:
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ও শিশু কল্যাণ পরিষেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করা এই উদ্যোগ রাজ্যের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।
Tags:_
#WestBengalBudget2025 #AnganwadiAshaDigitalRevolution #MamataInitiative