আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি সার্ভের কাজ গত সোমবার থেকে শুরু করেছেন রাজ্যের আধিকারিকগণ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এবার আবাস প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি সার্ভের নির্দেশ দেয়া হয়। ঠিক সোমবার থেকে আবাস প্রকল্পের মাধ্যমে যে সমস্ত যোগ্য উপভোক্তা ,অযোগ্য উপভোক্তা রয়েছেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছেন অর্থাৎ Field Verification করছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি আধিকারিক।
এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানের এক নতুন প্রশ্ন জেগে উঠেছে যে সমস্ত পরিচয় শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে কাজ করতে গিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেরই আবাস প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িতে তৈরি লিস্টের নাম রয়েছে সেই সমস্ত প্রবক্তার কীভাবে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করবেন? সে ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনেকবার প্রশ্ন উঠেছে সেই প্রতিউত্তরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব চমৎকার উপদেশ দিয়েছেন সেটাই আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাবো।
NEW UPDATE
খেটে খাওয়া দিনমজুর গরিব মানুষদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল আবাস যোজনা সমীক্ষার কাজ । রাজ্য নির্দেশ অনুযায়ী যার নামে ঘর রয়েছে তাকেই উপস্থিত হয়ে ছবি ও জিও ট্যাগিং (Geo Tagging) করতে হবে প্রশাসনকে এমনটাই সূত্রের খবর। সেই সূত্র টেনেই দু-দিন ধরেই চলল আবাস সমীক্ষা দেখা গেছে অনেক ব্যক্তির নাম রয়েছে কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Worker) প্রবাসে থাকার কারণে তাদের বাড়িতে সার্ভে হচ্ছিল না। এই কথা মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কান পর্যন্ত পৌঁছাতেই তিনি নিয়ে নিলেন বড় সিদ্ধান্ত দেখুন বিস্তারিত।
আবাস যোজনা সমীক্ষা পরিযায়ী শ্রমিকদের কিভাবে হবে? Bangla Awas Yojana Survey For Migrant’s Worker’s
অনেক সময় দেখা গেছে রাজ্যের যে সমস্ত আধিকারিকগণ আবাসের সাবেক করছেন তার মধ্যে অনেকের নাম রয়েছে এমন যারা বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। দু-মুঠো খাবার রোজগার করতে তিনারা ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করছেন। সেই সমস্ত পরিবারের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে আসার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে বড় ঘোষণা ও বড় সিদ্ধান্ত দিল তাদের জন্য, এবার ছাড় পেতে চলেছে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা কীভাবে ছাড় পাবেন চলেন জানাই।
যে সমস্ত পরিবেশ শ্রমিকদের নাম এই লিস্টে রয়েছে তাদের বাড়ি সার্ভে করতে আসবেন আধিকারিক কিন্তু সেই বাড়ির সার্ভিস আমায় যদি তার পরিবারের কোন সদস্য যেমন :- আত্মীয়, হতে পারে তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে কিংবা বাবা-মা থাকলেও চলবে। তবে উপভোক্তা সশরীরে উপস্থিত প্রথম কিস্তির সময় না থাকলেও চলবে, প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো পরবর্তী কিস্তির টাকা আর ঢুকবে না সেই উপভোক্তার।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা তো তিনি পেয়ে যাবেন, কিন্তু পরবর্তী যে চল্লিশ হাজার টাকা দেয়া হবে সেখানে টাকা সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে সমীক্ষার সময়।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কি?
আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিজের কোশাগার থেকে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের আগের লিস্ট মতে ১১ লক্ষ এর বেশি পরিবারদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছিলেন। তবে দেখা যাচ্ছে পরিবারের সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে কিংবা কমতে পারে এটা সম্ভাব্য। তো যাই হোক, রাজ্য সরকারের আধিকারিকগণ জানান অনেক জায়গায় আমরা সার বেঁধে যাচ্ছি সেখানে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যেই পরিবারের উপভোক্তা রয়েছেন তিনি চলে গেছেন বিদেশে,
তবে ভিন রাজ্যে কাজের উদ্দেশ্যের জন্য রওনা দিয়েছেন তার জন্য তার ভেরিফিকেশন কি করা যাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের একাধিক আধিকারিক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দোষ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে সমস্ত ভিন রাজ্যে শ্রমিকরা গিয়েছেন তাদের প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাংকে দিয়ে দেয়া হবে কিন্তু ভেরিফিকেশনের সময় থাকতে হবে বাড়ির কোন সদস্য।
দ্বিতীয় কিস্তি চল্লিশ হাজার টাকা ঢোকবার আগে তাকে সশরীর উপস্থিত থাকতে হবে সেই ভেরিফিকেশনের সময়। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের জন্য বাস্তবায়িত করেছে যাতে কোনো সদস্য এই প্রকল্পের বাড়ি থেকে বাদ না যায়। যাতে সকলের মাথার ওপরে ছাদ তৈরি করতে পারেন রাজ্য সরকার তার উদ্দেশ্যে এই নতুন সিদ্ধান্ত।
আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা কবে ঢুকবে?
কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েক বছর থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে কোনোরকম আবাস প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছে না। তাই এই বঞ্চিত সহ্য না করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন,
যে ডিসেম্বর মাসের আগে আগে যদি কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় সে ক্ষেত্রে ভালো যদি না দেয় রাজ্য সরকার দেবে। তারপরে দেখা যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তথা কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম আশ্বাস দেয়া হচ্ছে না টাকা দেওয়া নিয়ে।
Bangla Awas Yojana Survey 2024
তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিনার অনুপ্রেরণায় আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিজের কোথাকার থেকে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। সরকারি নির্দেশমতে আবাস যোজনা প্রকল্পের কিছু সময়সূচি বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সেগুলো আপনারা নিচে দেখুন আবার প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে, কবে থেকে সার্ভে শুরু হবে,কবে বন্ধ হবে সম্পূর্ণ আপডেট দেয়া আছে। তবে বলে রাখি রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকে আবাস যোজনা প্রকল্পের যে সমস্ত উপভোক্তা যোগ্য হবে তাদের টাকা দেয়া হবে প্রথম কিস্তি ৬০,০০০/- টাকা দেওয়া হবে।