Bangla Awas Yojona Plus Scheme Survey Report. Awas Yojona List 2024 download.

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

আবাস যোজনা প্রকল্পে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ একাধিক জেলা থেকে উঠছে, আবার প্রকল্পের সমীক্ষা নিয়ে আপনাদের লেটেস্ট আপডেটটি আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দিতে চলেছি। তাই অন্যদের প্রতিবেদন শেয়ার করে এরকম লেটেস্ট আপডেট টি জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বাংলা আবাস প্লাস যোজনার মাধ্যমে গত সোমবার থেকেই এই প্রকল্পের সার্ভিস শুরু হয়ে যায় পুরো রাজ্যজুড়ে। রাজ্য সরকার চাইছে যে সমস্ত অযোগ্য পরিবার রয়েছে তাদেরকে বঞ্চিত করতে যারা যোগ্য রয়েছে তাদের এই প্রকল্পের যুক্ত করতে, তার জন্যই ১১ লক্ষের বেশি পরিবারদের লিস্ট নিয়ে এবার রাজ্যের আধিকারিকদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৬১৩টি টিম তৈরি করা হয়েছে।

তবে আধিকারিকগণ যখন মাঠে নামেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে সার্ভে শুরু করতে তার মধ্যেই আসছে বিভিন্ন রকম গন্ডগোলে সৃষ্টির কথা। যেমন অনেকের কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাড়ি পাচ্ছে না অনেকে আবার পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাড়ি পেয়ে যাচ্ছে । এমন অভিযোগ বহু বাড়িতে দেখা গিয়েছে এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে দেখা গিয়েছে। তাই রাজ্য সরকার এবার আধিকারিকদের বড় নির্দেশ দিতে চলেছেন এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে সূত্রে মারফত।

কজন উপভোক্তা বয়স্ক তিনি এ বছর সার্ভের কথা শুনতে না শুনতেই এবার বাড়ি বেধেছেন নতুন অস্থায়ী একটি কাঁচা ঘর। আবাস যোজনার সমীক্ষায় নিজেদের যোগ্য প্রাপক হিসেবে প্রমাণ করতে ‘সাজানো বাগান’এর আশ্রয় নিচ্ছেন বহু উপভোক্তা। যদিও সেই সাজানো বাগান এক ঝলক দেখলেই বোঝা যায়,

তা বসবাসের অযোগ্য। পাটকাঠি আর টিন দিয়ে ঘেরা ঘর। সঙ্গে খড়ের ছাউনি। ভাঙাচোরা খাটিয়া পাতা রয়েছে ঘরের এক কোণে। খাওয়া দাওয়া করার কিছু বাসন সামগ্রীও সাজানো রয়েছে নির্দিষ্ট জায়গায়। অথচ উনুন নেই। সেই ঘরেই থাকেন বয়স্ক উপভোক্তা। সেই কাঁচা ঘরের পাশেই রয়েছে দোতলা পাকা বাড়ি। হাঁড়ি আলাদা হওয়ার পর থেকেই নাকি রোদ, ঝড়, জল, বৃষ্টি উপেক্ষা করে বয়স্ক ব্যক্তি সেই কাঁচা ঘরেই থাকেন।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

পরবর্তীতে রাজ্যের আধিকারিক যখন সেই ব্যক্তিকে বলেন যে আপনার নথিপত্র গুলো নিয়ে আসুন তারপরে সেই ব্যক্তিকে দেখা যায়, তিনি সেই দোতলা পাকা বাড়িতেই যাচ্ছেন নথিপত্র নিয়ে আসতে। তারপরে যোগ্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে উপভোক্তা। এমন অভিযোগ বিভিন্ন জেলায় উঠেছে তবে এই খবরটা সামনে এসেছে সকলের।

এবার একটা নতুন খবর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিহর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে সার্ভে করার উদ্দেশ্যে যান সরকারি আধিকারিক, কিন্তু গ্রামবাসীদের মুখে বাধা পড়তে হয় আধিকারিকদের। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি রাজ্য সরকার যে ১১ লক্ষের বেশি পরিবারের লিস্ট নাম রয়েছে সেই মতেই টাকা দেওয়া শুরু করুক নইলে আমরা নতুন করে সার্ভে করতে দেবো না এই প্রকল্পে।

গ্রামবাসীর একাংশই এই দাবি মেনে নিয়েছেন তবে রাজ্যের আধিকারিকগণ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আমাদের যেদিকে প্রচলিত করবে সেদিকেই আমরা এই কবো এখনো পর্যন্ত সরকারি নির্দেশ মত যে সমস্ত এলাকায় আবাস যোজনা সার্ভের লিস্ট দিয়েছে সে সমস্ত এলাকায় আমাদের সার্ভে শুরু করতে হবে। তখন সে হরিশ্চন্দ্রপুরের যেই গ্রামবাসীরা রয়েছেন তারা এই নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকদের এবং পরবর্তীতে সে জায়গায় আর নতুন করে আবাসের সমীক্ষা করা হয়নি। রাজ্য সরকারের পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত আপাতত বন্ধ সেখানে সমীক্ষা।

পাশাপাশি নদীয়া জেলায় সমীক্ষার কাজে আরও স্বচ্ছতা আনতে জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে মোট ২৩টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখান থেকে উপভোক্তাদের ফোন করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, সমীক্ষার কাজ ঠিকঠাক হয়েছে কি না। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৮ হাজার ফোন কল করা হয়েছে। তাঁদের কোনও অভিযোগ থাকলেও তা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি উপভোক্তার সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ডিং রাখা হচ্ছে। একটি পোর্টাল খুলে তাতে সেই তথ্য আপলোড করা হচ্ছে।

নদীয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুনরায় সমীক্ষার কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমীক্ষার কাজে গতি আনতে সার্ভে টিমের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। এটা শুধুমাত্র স্বচ্ছতা নিয়ে আসার জন্যই আবার প্রকল্পের মাধ্যমে নদীয়া জেলাতে নতুন পদ্ধতি নিয়ে এসেছে তবে এটা পুরো পশ্চিমবঙ্গে হওয়া উচিত, বলে মনে করেন সরকারি আধিকারিক। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় যে সমস্ত সমীক্ষক দল রয়েছে তাদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

নদীয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, ‘জোর কদমে চলছে আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ। প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন স্তরে কন্ট্রোল রুম খুলেও উপভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’নদীয়ায় মোট ১ লক্ষ ৮১ হাজার উপভোক্তার তালিকা তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৭২৬ জন উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে।

জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১১ হাজার ৭৪৫ জন উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। তার জন্য আগেই ৫৮৮টি দল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ৬১৩টি করা হয়েছে। কারণ সমীক্ষার শুরু থেকেই নানা বাধা আসছে। কখনও অ্যাপের সমস্যা, আবার কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যার ফলে সমীক্ষার কাজের গতি শ্লথ হচ্ছে। নদীয়া জেলায় তেহট্ট-২ ব্লকে সর্বোচ্চ ৫৩ শতাংশ উপভোক্তার সমীক্ষার কাজ হয়ে গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রচলিত বাংলা আবাস ক্লাস প্রকল্পের আপনার এলাকায় খবর কি? আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেয়ার কারণে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আপনি কি বলে মনে করছেন অবশ্যই জানাবেন আমাদের।

আমাদের যোগাযোগের ঠিকানা: আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন, প্রতিবেদনের নিচে দেখবেন বিভিন্ন রকম সোসিয়াল মিডিয়া লিঙ্ক রয়েছে তারমধ্যে Telegram এও জয়েন করে সরাসরি হোয়াটস্যাপ করতে পারবেন। এছাড়া আমাদের YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে আপনারা প্রতিনিয়ত খবর সর্বদা ভিডিও আকারে পেয়ে যাবেন।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

WB SCHEME NEWS

WB SCHEME NEWS-এর প্রতিবেদন লিখি। আমি বিগত ৫বছর থেকে সমাজ মাধ্যমে কর্মরত। আমি এখন বর্তমানে এই Website -এ Article লিখা ও অন্যান্য কাজের সাথে যুক্ত।

1 thought on “Bangla Awas Yojona Plus Scheme Survey Report. Awas Yojona List 2024 download.”

Leave a Comment