Crop Insurance:- পশ্চিমবঙ্গের অপেক্ষাকৃত প্রত্যেক কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা ডিসেম্বর মাস থাকলেও এখনো পর্যন্ত মেলেনি তাদের প্রাপ্য টাকা। আদৌ কি সে সমস্ত কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার?
২০২৪ সালে খরিফ মরশুমে আবেদনকারী প্রত্যেক কৃষকদের স্ট্যাটাস তাদের অনলাইন পোর্টালে দেখা যাচ্ছে তবে এখনও পর্যন্ত, বীমা কোম্পানির ওয়েবসাইটে কোনো রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে না। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সে রিপোর্ট করার ব্যবস্থাপনা শুরু করতে পারে নবান্ন সরকার।
আরও পড়ুন:–Wb BDO Office Job:- রাজ্যে এইট পাশে চাকরির সুযোগ! সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করুন আবেদন
Table of Contents
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প কী?
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি ফসল বীমা প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের কোন কৃষক যদি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন করে সেক্ষেত্রে তিনি সম্পন্ন ফ্রিতে আবেদন করতে পারবেন। শুধু এই নয় এর সাথে কোন কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়, যেকোনো বিপর্যয়ের কারণে তাহলে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফসলের ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকেন কৃষকদের। এবং এই প্রকল্প আবেদন করতে কোনরকম টাকা লাগেনা কৃষকদের। সম্পূর্ণ ফ্রিতেই বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প আবেদন করা যায়। বছরে দুইটি মৌসুমে আবেদন করতে হয় এক খরিফ মরসুম অপরটি রবি মরসুম।
ফসলের ক্ষতিপূরণ কবে দেবে?
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সর্বশেষ ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসের ৩১ তারিখের আগে পর্যন্ত আবেদন পত্র জমা নিয়েছেন খরিফ মরশুমের। এবং খরিফ মরসুমের ফসলের ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করছেন পশ্চিম বাংলার কৃষকরা। রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয় নবান্ন সভাগার থেকে ডিসেম্বর মাসে টাকা ব্যাংকে পেয়ে যাবেন। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পেরিয়ে ২০২৫ সাল আসার সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো কৃষক ফসলের ক্ষতিপূরণ পাননি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায়।
আরও পড়ুন:–Wb Land department Recruitment: পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পাশে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগ, আবেদন করুন চাকরির জন্য।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাথে সংযুক্ত ইন্সুরেন্স কোম্পানি বা ফসল বীমা কোম্পানি, জানিয়ে দিয়েছেন এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আমাদের রিপোর্ট করা হয়নি, বলেই কোনো কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ আমরা দিইনি। অর্থাৎ কৃষকরা বুঝতে পারছেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার পলিসিতে রিপোর্ট করছে রাজ্য সরকার, ততক্ষণ আপনি বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ফসলের ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
কবে রিপোর্ট করবে রাজ্য সরকার?
যেহেতু রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছেন ডিসেম্বর মাস থেকে টাকা ঢুকতে শুরু করবে সেক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত টাকা ঢোকেনি তবে আমরা, জানুয়ারি মাসের মধ্যে রিপোর্ট করার একটা সম্ভাব্য তারিখ বলতে পারি। ডিসেম্বর মাসে যেহেতু বলেছিলেন সেক্ষেত্রে,
বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কারণে সেটা দেরি হয়ে যায় তারপর পরবর্তীতে জানুয়ারি মাস এবং সেই জানুয়ারি মাসেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাপনা হয়তো বা শুরু করতে পারেন রাজ্য সরকার। এখন শুধুমাত্র আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত না রিপোর্ট করছেন ততক্ষণ টাকা পাবেন না।
আরও পড়ুন:–West Bengal Group: D Recruitment 2024: চাকরির সুযোগ, এইট পাশে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন করুন
সরকার আদৌ কী রিপোর্ট করবে?
এই প্রশ্নের উত্তর হল হ্যাঁ, ২০২৪ সালে বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে রাজ্য সরকারকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নষ্টের যে রিপোর্ট তা কিন্তু পেশ করতেই হবে। যেহেতু এই প্রকল্পটা হচ্ছে ফসলের ক্ষতিপূরণের জন্য। অর্থাৎ আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি আপনাদের রিপোর্ট হবে তবে এটা জানুয়ারি মাসে না হয়ে ফেব্রুয়ারি মাসেও হতে পারে এর কোন সময়সীমা নেই।
বলে এটা অনেকটা দেরি ও হতে পারে বা আপনার অগ্রিম ও রিপোর্ট করতে পারে রাজ্য সরকার তবে শুধু আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে যদি আপনি একজন যোগ্য ফসলের ক্ষতিপূরণের কৃষক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেবে বীমা কোম্পানি।
BANGLA SHASHYA BIMA | CLICK HERE |
PRADHANMANTRI FASAL BIMA YOJANA | CLICK HERE |
SAIDUR RAHMAN
আমি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। আমি বিগত ২বছর থেকে প্রতিবেদন লিখি। এর সাথে আমি পড়াশোনা করি।