লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প কি?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি জনপ্রিয় ও জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আগে টাকা দেওয়ার নিয়ম ছিল প্রতি মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা। পরবর্তীতে একটা বৈষম্য তৈরীর কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে টাকা এই প্রকল্পের দ্বিগুণ করে দেওয়া হয় এবং বর্তমানে যে সমস্ত মহিলারা যোগ্য আবেদনকারী রয়েছেন এই প্রকল্পে তাদের প্রতি মাসে ১০০০ ও ১২০০ টাকা দিচ্ছেন রাজ্য সরকার।
টাকা বাড়বে আবারো:-
বর্তমানে বিভিন্ন নিউজ মারফত জানানো যাচ্ছে যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে এক হাজার ও বারোশো টাকার পরিবর্তে এবার আপনাদের টাকা দ্বিগুণ হতে চলেছে! এবার থেকে দেয়া হবে এই প্রকল্পে ২০০০ ও ২৪০০ টাকা। কিন্তু এই কথার সত্যতা কিছুই নেই কারণ রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো রকম টাকা দ্বিগুণের নির্দেশিকা দেয়নি যেটা ১০০০ ও ১২০০ টাকা পেতেন একইভাবে টাকা কিন্তু পেয়ে যাবেন ব্যাংক একাউন্টে । তাই অযথা ভুলভাল News -এ কান দেবেন না অরিজিনাল ভালো নিউজ শুনবেন যাতে কেউ আপনাকে বিভ্রান্ত না করতে পারে।
লক্ষীর ভান্ডার টাকা কবে ঢুকবে?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা প্রতি মাসেই দেওয়া হয় ভাতা সিস্টেমে। ২০২৪ সালে অক্টোবর মাসের টাকা ও আপনারা ব্যাংক একাউন্টে পেয়েছেন তবে নভেম্বর মাসের টাকা আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে, এর আগে যেমন ভাবে প্রতি মাসে টাকা ব্যাংক একাউন্ট ব্যস্ত একইভাবে বর্তমানেও টাকা আপনার মাসিক ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে,
প্রতি মাসের ৫ তারিখের আগে আগে ব্যাংকে চলে আসে। অনেক সময় ব্যাংকের কোনরকম যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে টাকা আসতে অনেক দেরি হয়, অতএব আমরা বুঝতে পারলাম যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রতি মাসেই টাকা আপনাদের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই ব্যাংক একাউন্টে চলে আসে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পরবর্তী মাসের কাদের ঢুকবেনা?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আপনারা অনেক জায়গায় সার্চ করেছেন তবে আমি আপনাদের সেই উত্তরটি জানিয়ে দিচ্ছি, দেখুন টাকা না পাওয়ার বিভিন্ন রকম কারণ থাকে যেমন:- ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ, যোগ্য উপভোক্তা নয়, একই জন দুটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাচ্ছে, কিংবা অন্যান্য কারণ এর জন্য টাকা ব্যাংক একাউন্টে নাও ঢুকতে পারে।
১)পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন আধিকারিক জানিয়েছেন যে অনেক সময় দেখা গিয়েছে কোন মহিলা এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন অযোগ্য বলতে তার কোন বয়সই হয়নি তবুও তিনি আবেদন করেছেন এই প্রকল্পে এখনো টাকা পাচ্ছেন সেগুলো পরবর্তীতে যাচাই করে তাদের নাম বাদ দেওয়া নির্দেশ দেওয়ার পর টাকা আর ঢুকছে না এবং পরবর্তীতে আর ঢুকবে না
২) অনেক মহিলা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের joint account দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আগে জয়েন্ট একাউন্টে টাকা ঢুকতো বর্তমানে আর জয়েন্ট একাউন্টে টাকা ঢুকবে না, তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন আধিকারিকগণ জানিয়েছেন লক্ষীর ব্যান্ডের প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেতে হলে আপনাকেও সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে এবং যদি আপনার আগে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জয়েন্ট দেয়া থাকে সেটি আপনাকে চেঞ্জ করতে হবে ব্লক অফিসে গিয়ে। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন যদি আপনারও Joint অ্যাকাউন্ট থাকে অতি শীঘ্রই আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে জয়েন্ট একাউন্টে ঠিক করুন।
৩) লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কোন উপভোক্তাকে দেখা গিয়েছে একাধিক বার আবেদনপত্র জমা করেছেন সেক্ষেত্রে তার আবেদন এখনো পর্যন্ত approve হচ্ছে না। যদি আপনাদের ক্ষেত্রে এমন হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্লক অফিসে গিয়ে আধিকারিক এর সাথে কথা বলতে হবে তারপর অরিজিনাল ডকুমেন্টস দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ঠিক করে নিয়ে নেবেন। এবং আবেদন Approved হবার পর টাকা ব্যাংক একাউন্টে আপনার ঢুকতে শুরু করবে।
৪) লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে অনেক সময় দেখা গিয়েছে একজন উপভোক্তা দুইটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকার সুবিদা নিচ্ছেন, যাচাই শুরু করে তারপর দেখা যায় একজন উপভোক্তা দুই একাউন্টের মাধ্যমে টাকা ব্যাংক একাউন্টে নিচ্ছেন। মূলত বুঝতে পারছেন যে রকমই আপনি অযোগ্য হন না কেন আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না টাকা।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে পরবর্তী কিস্তির টাকা কারা পাবেন?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের পরবর্তী কৃষ্ণের টাকা ব্যাংক একাউন্টে শুধুমাত্র সেই সমস্ত মহিলারা পাবেন যাদের সমস্ত কিছুই ঠিক রয়েছে যেমনযোগ্য তেমন ব্যাংক একাউন্টের কোনো সমস্যা নেই, একজনই উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, স্ট্যাটাস আপডেট হয়ে আছে। অর্থাৎ যে সমস্ত মহিলাদের স্ট্যাটাস থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য ঠিক থাকবে তারাই পরবর্তী কিস্তির টাকা ব্যাংকে পাবেন অযথা অযোগ্য মহিলাদের টাকা দেয়া হবে না।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুন আবেদন কি হচ্ছে?
হ্যাঁ অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন আবেদন যারা করতে চাইছেন তারা আবেদন করতে পারবেন তবে আপনাকে যে সতর্কতা দেয়া হয়েছে তা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে যদি সতর্কতা না মানেন সেক্ষেত্রে আপনাকে এই প্রকল্পের যোগ্য বলে গণ্য হবে না।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপনাকে নিয়ে যেতে হবে ব্লক অফিসে, এছাড়াও আবেদন করা যাবে নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে।
কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
⚫আবেদনকারীর ছবির 2 কপি।
⚫আয়ের সার্টিফিকেট যা আঞ্চলিক অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
⚫আঁধার কার্ডের জেরক্স।
⚫স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স।
⚫মোবাইল নম্বরভোটার কার্ড (যদি উপলব্ধ না হয়)
⚫রেশন কার্ডের জেরক্স (অতিরিক্ত নথি।
WB SCHEME NEWS
WB SCHEME NEWS-এর প্রতিবেদন লিখি। আমি বিগত ৫বছর থেকে সমাজ মাধ্যমে কর্মরত। আমি এখন বর্তমানে এই Website -এ Article লিখা ও অন্যান্য কাজের সাথে যুক্ত।