“One Nation, One Election”
One Nation One Election: “এক দেশ এক নির্বাচন” কার্যকর করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মোদী সরকার। বিগত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় (Union Cabinet) সবুজ সংকেত পেলো কেন্দ্রের মোদী সরকার। সূত্রের খবর,জানা যাচ্ছে:- চলতি শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়ে একটি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র বা করবে কেন্দ্রীয় মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান “এক দেশ,এক নির্বাচন” সমর্থনে জোরালো যুক্তি দিয়েছেন। তাঁর মতে, ঘন ঘন নির্বাচন হওয়ার ফলে দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়, টাকাও নষ্ট হয় এতবার নির্বাচন করলে ,বিপুলসংখ্যক টাকা নষ্ট হচ্ছে, এবং হিংসা, মার, দাঙ্গা ইত্যাদি হচ্ছে বলেই “এক দেশ এক নির্বাচন” করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন্দ্রের মোদি সরকার, আরো একধাপ এগুলো কেন্দ্রের মোদি সরকার ।
“এক দেশ এক নির্বাচন” নিয়ে বিজেপির বা মোদী সরকারের অনেকদিন আগের পরিকল্পনা:-
“এক দেশ এক নির্বাচন” ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদি সরকার অনেক দিন ধরেই আগ্রহী ছিলেন এই বিষয়ে, অতএব পরবর্তীতে আবারও সবুজ সংকেত পেলেন কেন্দ্রের মোদি সরকার। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নির্বাচনী দফতরের ও এ বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছিল বলেই দাবি। এই নিয়ম কার্যকর হলে সারাদেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তথা ECI (Election Commission of India).
কেন্দ্রীয় সরকারের মতে এটা অনেকটাই সুবিধাজনক হবে ভারতবাসীর বা সাধারণদের জন্যে, বিপুলসংখ্যক অর্থ যে ব্যয় হচ্ছিল এই খাতে তাও এবার কিন্তু কম হবে এতে অর্থনৈতিক ব্যাপারটাও ঠিক থাকবে। এছাড়া হিংসা, প্রতি হিংসা এগুলো দেখা যাচ্ছিল অনেক এটা থেকে রেহাই পাবেন জনসাধারণ।
Table of Contents
“One Nation, One Election” In India
এর সাথে সাথে কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বারবার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ কিন্তু বন্ধ হয়ে যায় এবং শুধু এই নয়, সেখানে এমনটা ও দাবি করা হয় যে, সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোটার সংক্রান্ত নানা কাজকর্মেরও চাপ কমবে বলেই দাবি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আবারও সবুজ সংকেত পেয়ে এক ধাপ এগোলো”এক দেশ এক ভোট” নিয়ে।
বিশেষ খবর:- “এক দেশ এক নির্বাচন”
“এক দেশ এক নির্বাচন” কার্যকর করতে অনেক দিন ধরে একটু একটু করে পদক্ষেপ করতে শুরু করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। “এক দেশ, এক নির্বাচন” যদি ভারতে এই ব্যবস্থা চালু হয়, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে বা সফল হবে মোদী সরকার খতিয়ে বা পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির নেতৃত্ব ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা:- রামনাথ কোবিন্দ।
গত মার্চ মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি:- রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে বর্তমান রাষ্ট্রপতি :- দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে:-, সেখানে উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে ওই রিপোর্টে একই সঙ্গে একাধিক দফায় লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে “এক দেশ,এক নির্বাচন”। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা ভোটের মতো আঞ্চলিক নির্বাচনগুলিও ওই একই সময়ে করানোর কথা ঘোষণা রয়েছে ওই রিপোর্টে। বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
“এক দেশ এক নির্বাচন” নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে:-
তবে এই একসঙ্গে সব নির্বাচন করার ব্যবস্থাপনা কে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা, বিরোধীদল গুলি ইতিমধ্যে এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন।বিরোধীরা পালটা যুক্তি দিচ্ছেন, এই নীতি আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
“এক দেশ এক নির্বাচন” নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মত একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বলেই দাবি করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সেই সাথে এবার সংসদে চলতি শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হতে পারে “এক দেশ,এক নির্বাচন” বিল।
“এক দেশ এক নির্বাচন” নিয়ে এবার সরাসরি কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়:-
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় “এক দেশ এক নির্বাচন” বিলে অনুমোদনের পর আবারও এটির বিরোধিতায় স্বরূপ হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “এক দেশ,এক নির্বাচন” এই বিলকে অসাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থি বলে ব্যাখ্যা করে টুইট করেছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী নেতৃত্বের এবং বিশেষজ্ঞরা এই নির্বাচন ব্যবস্থা কে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সেটিও কেন্দ্রী গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ মমতার। তবে এও জানান তৃণমূলের সাংসদরা এবার সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী সমাজের মাধ্যমে।
সূত্রের খবর:-
“এক দেশ, এক নির্বাচন” এই বিলটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চর্চা হতেও পারে:- তার জন্যই আগামী পরিকল্পনার সেরে নিয়েছে কেন্দ্র। তাই এটি নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে “এক দেশ, এক নির্বাচন” বিলটি খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটির জেপিসি পাঠানোর কথা ভাবছে তারা। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐক্যমত্য তৈরির চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্র। তবে কতটা বাস্তবায়িত হয় এই “এক দেশ, এক নির্বাচন”
এই বিল আগে থাকলেও মাঝে বন্ধ হয়ে যায় অনেক চেষ্টার পরেও করা যায়নি শুর।বর্তমানে এটিকে পুনরায় শুরু করার জন্য লেগে পড়েছেন, মোদী সরকার। বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও কেন্দ্রীয় মোদী সরকার তৃতীয় বরে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়ে করে দেখাবেন এমন টাই দাবি বিজেপির কর্মীদের।
ELECTION COMMISSION OF INDIA | CLICK HERE |
MAMATA BANERJEE OFFICIAL X HANDLE | CLICK HERE |
ONE NATION ONE ELECTION REPORT | CLICK HERE |
“One Nation, One Election”: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলো ”এক দেশ এক নির্বাচন”
“One Nation, One Election”
One Nation One Election: “এক দেশ এক নির্বাচন” কার্যকর করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মোদী সরকার। বিগত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় (Union Cabinet) সবুজ সংকেত পেলো কেন্দ্রের মোদী সরকার। সূত্রের খবর,জানা যাচ্ছে:- চলতি শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়ে একটি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র বা করবে কেন্দ্রীয় মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান “এক দেশ,এক নির্বাচন” সমর্থনে জোরালো যুক্তি দিয়েছেন। তাঁর মতে, ঘন ঘন নির্বাচন হওয়ার ফলে দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়, টাকাও নষ্ট হয় এতবার নির্বাচন করলে ,বিপুলসংখ্যক টাকা নষ্ট হচ্ছে, এবং হিংসা, মার, দাঙ্গা ইত্যাদি হচ্ছে বলেই “এক দেশ এক নির্বাচন” করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন্দ্রের মোদি সরকার, আরো একধাপ এগুলো কেন্দ্রের মোদি সরকার ।
SAIDUR RAHMAN
আমি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। আমি বিগত ২বছর থেকে প্রতিবেদন লিখি। এর সাথে আমি পড়াশোনা করি।